লাবিব মাহফুজ
উর্ধ্বধামের সপ্তর্ষিমণ্ডল পেরিয়ে
আরো উর্ধ্বে, উঁচু আকাশের প্রেমমন্দির –
যেথা সর্বক্ষণ অপ্সরী দের আনাগোনা!
সেথা জন্ম আমার। কিন্তু এ দেহ –
আমাকে বন্দী করেছে আজন্ম বন্দীত্বের মাঝে!
মাটির শিকলে গেথে রেখেছে অনুভূতিহীন শরীর!
আমিতো উর্ধ্ব-অধঃ এর এই অসামঞ্জস্যতায় নিয়ত অস্থিরচিত্ত।
মনের অজান্তে খুজে বেড়াই
মাঝামাঝি কোনো অস্তিত্বকে!
এ দুয়ের অসংলগ্নতার জন্য কখনো কখনো
অবচেতনেই নির্মাণ করি ভিন্ন ভিন্ন অবয়ব।
পৃথক পৃথক গন্তব্য।
হে আমার অনাদী কালের সত্ত্বা
ক্ষণকালে নয়, চিরকালের জন্য
আমাকে ধারণ করো।
মিটিয়ে দাও আমার এ ক্ষুদ্র আমিত্বকে।
আমিময় হও তুমি অথবা তুমিময় আমি।
সকল বৈপরিত্যের অবসান হোক।
সকল দ্বিধার অবসান হোক।
আমিতো ফেরেস্তার চাইতেও উর্ধ্বে,
সপ্ত আকাশের দিগন্তবেষ্টিত দিগ্বলয়ে
আরশে আজীম পরিব্যাপ্ত আমার মানমন্দির –
অথচ আমি প্রোথিত সাত তবক জমিনেও!
আমার এ দেহকেন্দ্রিকতার জড়ভূমি পেড়িয়ে
আমায় অসীম শুণ্যতায় স্থিত করো প্রভু!
মসজিদ মন্দির গীর্জা প্যাগোডা
সবই তো মর্ত্যলোকের মুর্দার জন্য –
আমি চাই প্রাণময় মোর প্রাণদেউলে
নিত্যাকাশে, নিত্যরূপে রও নিত্যকাল
নিত্যানন্দে হয়ে পূর্ণ।
তব শ্রীরূপ মাঝে আমারে আমি নিত্য করিবো লয়
আমি তোমাতে বাস করিবো সদা হইয়া তোমাময়।
রচনাকাল – 12/12/2017