আধ্যাত্মিক সুফি সংগীত ০১.
আহসান সুরতে মানুষ, বলেছে আল্লাহ পাক পরোয়ার
কে বলে দোযখে যাবে, যে বলে সে হয় গুনাহগার।
মনোবাঞ্ছা পুরাইতে, মাওলায় গড়েছে আদম নিজ হাতে
রুহু ফুঁকে দিয়ে তাতে, দিয়েছে বিচারের ভার।
সাত আসমান সাত জমিন তাতে, বানাইয়াছে পাক জাতে
আগুন পানি খাক বাতাসে, সওয়ার হইলো তার ভিতর।
আরশ কুরছি লওহ কলম, দেখোনা তা করে মালুম
নিজে খোদা এসমে আযম, আরশে আজীমের পর।
মোতালেব কয় খোদা বান্দা, না চিনিলে যায়না ধান্ধা
পাবেনা আর এই মর্যাদা, ভেঙে দিবে পশুর উপর।
আধ্যাত্মিক সুফি সংগীত ০২.
মানুষ খোদার খোদ কাঁচারী, যেজন তাঁরে চিনতে পায়,
আল্লাহ ছাড়া সেজদা হারাম, ভেদ জানিয়া পড়তে হয়।
আহাম্মদি নামাজ পড়া, মুহাম্মদি সেজদা হয়
মুহাম্মদ হয় আদম অজুদ, ওজুদে সাঁই দয়াময়।
চার হরফের হরণ-পূরণ, জানিলে হয় জিন্দা মরণ
না জানিয়া করলে স্মরণ, মিলবেনা আর দীন দয়াময়।
ইনছান হইলো খোদারই ভেদ, খোদার ভেদে ইনছান হয়
ভেদ না জেনে আজাজিলে, খোদা হইতে জুদা রয়।
মুহাম্মদ নাম খোদার তারিফ, সেই নামের যে করছে জরিপ
ভেদ না জেনে হয়না জরিপ, বিফল সেজদা তাহার হয়।
আদম খোদা হয়না জুদা, একই ভান্ডে দুজন রয়
কামেলিন মুর্শিদ বিনে, তারে কি আর চেনা যায়?
খাজা মোতালেব কয় চিনছে যেজন, আরেফ আউলিয়া সেজন
করো আগে সাধন ভজন, সেজদায় পাবে দয়াময়।
মোতালেব হোসেন চিশতীর দুইটি আধ্যাত্মিক সুফি সংগীত / Sufi Song
