মহান আউলিয়া উৎবা বিন গোলাম (র)। তিনি ছিলেন কঠোর তপস্বী এবং সাধনায় সিদ্ধ একজন মুক্তপুরুষ। যার নির্মল হৃদয়টি ছিল আল্লাহপ্রেমে ভরপুর। সাধনার পথে আসার পেছনে রয়েছে তাঁর চমকপ্রদ একটি ঘটনা।
নবী করিম (সা) এর বিশিষ্ট অনুচর হযরত আনাস (রা), হযরত আবু হুরায়রা (রা) সহ বহু ধর্মনিষ্ঠ ও পূণ্যাত্মা মানুষদের সংস্পর্শধন্য বিশিষ্ট অলী হযরত আবু হাশেম মাক্কী (র)। তাদের সংস্পর্শে প্রভাবিত হয়েছেন আবু হাশেম মাক্কী (র)।
ইরানের আজম নামক স্থানে জন্ম হযরত খাজা হাবীব আজমী (র) এর। বাস করতেন বসরা শহরে। সেখানে ছিল তাঁর সুদের ব্যবসা। পরবর্তীতে সুদ ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে হযরত খাজা হাসান বসরী (রা) এর নিকট মুরীদ হন হযরত খাজা হাবীব আজমী (র)।
মানুষতত্ত্বেই নিহিত প্রকৃত সত্য। মানুষ, মানুষ হয়ে উদ্ঘাটন করে সেই মহাসত্যের দ্বার। যাকে বলা হয় ‘ফাতিহাতুল কিতাব’। কামনা বাসনা বিবর্জিত মোহমুক্ত চরম নিরপেক্ষ একজন শুদ্ধ ও পবিত্র মানুষই হলো মহান আল্লাহর হাকিকত।
দামেস্কের বিখ্যাত অলী মালেক ইবনে দীনার (র)। আল্লাহপ্রাপ্তির পথে যিনি ব্যায় করেছেন তাঁর সারাটি জীবন। তাঁর সমগ্র জীবনটিই অসংখ্য অলৌকিক কর্মকান্ডে ভরপুর। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিয়ে আমাদের এখনকার আয়োজন।
পতিত মানব জাতিকে পথ প্রদর্শনের নিমিত্তে যুগে যুগে এ ধরাধামে আগমন করেছেন অসংখ্যা পূণ্যাত্মা। তাদেরই একজন হলেন হযরত মালেক ইবনে দীনার (র)। খাজা হাসান বসরী (রা) এর সমসাময়িক ছিলেন তিনি। অত্যন্ত উচ্চমানের সাধক ছিলেন তিনি।
যদি স্বয়ং আল্লাহ আপনার সঙ্গে থাকেন আর আপনার পূর্ণ আস্থা অটুট থাকে, তাহলে আর ভাবনা কিসের? আর এ কথায় যদি আপনার আস্থা না থাকে তাহলে অন্যের উপদেশে কোনো ফল হবে না।
মহান ওলীদের বাণী মুবারক মানুষেদের কে সরল সঠিক পথের দেশনা দান করে। এই উপদেশগুলোর মধ্যে থাকে প্রভূ প্রেমের সন্ধান। মানুষ যদি মহান পূণ্যাত্মাদের এ বাণী সকল জীবনে প্রয়োগ করে তাহলে তারা খুব সহজেই পোঁছে যেতে পারবে মহান জাতপাকের অমর প্রেমের ঐশী লোকে।
সরাসরি মহানবী (সা) এর সানুরাগ সংস্পর্শধন্য খাজা হাসান আল বসরী (রা)। এলমে মারিফতের দীক্ষা নেন নবী (সা) এর গুপ্তজ্ঞানের ধারক বাহক মাওলা আলী (আ) এর নিকট হতে। তাঁর যামানার সর্বোচ্চ জ্ঞানী হিসেবে তাঁকেই ধরা হতো।
যুগে যুগে দেশে দেশে কালে কালে প্রতিটি জনপদে আবির্ভুত মহান অলী আউলিয়া গণের পবিত্র জীবনাচারনে বার বার জগতে প্রতিধ্বনিত হয় পবিত্র ধর্মচেতনার সুরধ্বনি। আবহমান কাল থেকেই পবিত্রাত্মা তথা আউলিয়াগণের দ্বারা ধর্ম প্রচার হয় জগতে।
আল কুরআন’ এর প্রয়োজনীয় কিছু আধ্যাত্মিক আয়াত। পোস্ট দুটিতে কুরআন শরীফ হতে নিত্য প্রয়োজনীয় ১২৫ টি গুঢ় ভাবব্যঞ্জনাধর্মী বাণী মোবারক তথা আয়াত সন্নিবেশিত হয়েছে। আশা করি পোস্ট দুটি থেকে সত্যানুসন্ধীগণ উপকৃত হবেন।
জগৎগুরু মোহাম্মদ (সা) এর সানুরাগ সংস্পর্শধন্য খাজা হাসান আল বসরী। একদিন নবী (সা) এর পানি পান করার পাত্র থেকে পানি পান করে ফেললেন শিশু হাসান বসরী। পেয়ালায় পানির পরিমান কম দেখে নবী (সা) জিজ্ঞেস করলেন, পানি পান করেছে কে?
যুগে যুগে এ ধরনীতে আবির্ভূত হন স্রষ্টার কিছু প্রিয় বান্দা। তাদের অনুকরণ-অনুসরণের জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে সকল ধর্মেই। আমাদের আজকের আলোচনায় থাকছে এমনই এ জোতির্ময় সত্ত্বা “হযরত খাজা ওয়ায়েস আল ক্বরণী”।
মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ, এ শ্রেষ্ঠত্ব এসেছে তার মেধা, গঠন ও সুরত শৈলীর কল্যাণে। সে সৃষ্টিকে এমন করে সৃজন করে কুল আলমকে করেছে সুশৃঙ্খল, প্রাধান্য পেয়েছে প্রভুত্বের। মহান আল্লাহ পাক এই মানুষের মননে ছাবেত হয়ে তার প্রশংসার সবটুকু কুড়িয়ে নিয়েছেন।
মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ, এ শ্রেষ্ঠত্ব এসেছে তার মেধা, গঠন ও সুরত শৈলীর কল্যাণে। সে সৃষ্টিকে এমন করে সৃজন করে কুল আলমকে করেছে সুশৃঙ্খল, প্রাধান্য পেয়েছে প্রভুত্বের। মহান আল্লাহ পাক এই মানুষের মননে ছাবেত হয়ে তার প্রশংসার সবটুকু কুড়িয়ে নিয়েছেন।
কোরান বিশ্বাস করা ফরজ, আহলে বাইয়্যেতকে বিশ্বাস করাও ফরজ। কোরান বিশ্বাস করলো আহলে বাইয়্যেত বিশ্বাস করলো না, তারা কুফরী করলো। আমাদের অধিকাংশ আলেম সমাজ এই কুফরীতেই লিপ্ত আছে। ইহাই তাদের অন্ধত্বের পরিচয়, মূর্খতার পরিচয়।
দ্বীনে মুহাম্মদী ও আহলে বাইয়্যেত অবিচ্ছিন্নভাবে আছে। আহলে বাইয়্যেতের মাধ্যম ছাড়া দ্বীনে মুহাম্মদী প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। আর দ্বীনে মুহাম্মদী কায়েম না হলে মানব সুরত ভেঙ্গে জাহান্নামী সুরত নিয়ে দোযখে বাস করতে হবে।